নরসিংদীতে সামসুল হত্যায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

নরসিংদীর পলাশে সামসুল হক হত্যা মামলায় একই পরিবারের চারজনসহ সাতজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছে আদালত।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 01:27 PM
Updated : 22 May 2017, 01:28 PM

সোমবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পলাশ উপজেলার গালিমপুর গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সির ছেলে আব্দুল গাফফার, সিরাজ মিয়ার ছেলে মারফত আলী, মইজ উদ্দিনের ছেলে আলেক মিয়া ও তার স্ত্রী মোছা. রুপবান, তাদের ছেলে শরীফ মিয়া ও আরিফ মিয়া এবং মুল্লুক চাঁনের ছেলে তোতা মিয়া।

একইসঙ্গে প্রত্যেককে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তাছাড়া সামসুলের ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করায় গাফফার, শরীফ, আরিফ, আলেক, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়াকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জনকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইজনজীবী এম এ এন অলিউল্লাহ।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, গালিমপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি সামসুল হকের সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতিবেশি আলেক মিয়া ও গাফফারদের দ্বন্দ্ব ছিল। এনিয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মামালা-পাল্টা মামলাও করে।

“এর জেরে ২০০৯ সালে ৩১ অগাস্ট রাতে সামসুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে মারফত, শরীফ ও আরিফ তাকে মারধর করতে থাকে। তার চিৎকারে সামসুল এগিয়ে গেলে আসামিরা দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পার্শ্ববর্তী গর্তে ফেলে রাখে।

“খবর পেয়ে তাদের স্বজন ও আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।”

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নূরজাহান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে পলাশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।