রোববার সকাল ৬টায় ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
এর আগে শনিবার বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের আহবায়ক আব্দুল মান্নান এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে মহাস্থান, তিনমাথা, চারমাথা, মাটিডালি মোড়, ভবের বাজার, বনানী এলাকা দিয়ে ট্রাক, ট্যাংকলরি, কভার্ডভ্যান ও পিকআপ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে বাস ও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া বগুড়া-নাটোর, বগুড়া-নওগাঁ, বগুড়া-জয়পুরহাট সড়কেও ট্রাক, ট্যাংকলরি, কভার্ডভ্যান ও পিক-আপ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে পরিবহন ব্যবহারকারীরা মালামাল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
মহাস্থান বাজারেরর পাইকারী কাঁচামাল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কর্মবিরতির কারণে কাঁচামাল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আড়তে কাঁচামাল বেশিদিন রাখাও যাবে না।”
সাত দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের হয়রানি, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে হয়রানি বন্ধ, নতুন ড্রাইভিং ও হ্যাভি লাইসেন্স প্রদানের শর্ত সহজকরণ, ২০১৭ সালের নতুন খসড়া আইন প্রত্যাহার, বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত ওয়ে স্ক্যালের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং ট্রাক, ট্যাংকলরি, কভার্ডভ্যান ও পিক-আপ এর বাম্পার সাইড অ্যাঙ্গেল এবং হুক খোলার সরকারি আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
কর্মবিরতি চলাকালে সরকার পক্ষ থেকে দাবি মেনে না নেওয়া হলে লাগাতার কর্মসূচি পালনের হুঁশিযারিও দেওয়া হয়।