বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণ কাজের স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা এসআই এরশাদ আলী জানান।
গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমান বুলেট রংপুর জেলা যুবলীগের সদস্য বলে জানান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচ এম রাশেদুন্নবী জুয়েল।
সেইসঙ্গে বুলেটকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন তিনি।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাবিব অ্যান্ড কোম্পানির প্রকৌশলী সোহেল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.ওয়াজেদ আন্তর্জাতিক রিচার্স অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান। বুধবার দুপুরে বুলেট তার সঙ্গীদের নিয়ে এসে যুবলীগের নেতা পরিচয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
“চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। নির্দেশ অমান্য করলে শায়েস্তা করার কথা বলে চলে যান। ভয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়।”
বৃহস্পতিবার বুলেট ফের একা এসে চাঁদার দাবিতে চেঁচামেচি শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানানো হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান সোহেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মীর তামান্না সিদ্দীকা বলেন, নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় মারাত্মক অপরাধ করেছেন মাহফুজুর রহমান বুলেট। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসআই এরশাদ আলী বলেন, এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সোহেল রানা বাদী হয়ে বুলেটের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। এরপর বুলেটকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদুন্নবী জুয়েল বলেন, বুলেট জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। কিছুদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।