রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত নৃপেণচন্দ্র রায় (৩৬) রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকলেও গৃহবধূর দেবর লক্ষ্মণচন্দ্র রায় (৩৫) পলাতক রয়েছেন।
পিপি আখতারুজ্জামান পলাশ জানান, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে কল্পনা রানীকে (১৯) পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
“পরদিন নৃপেণ, লক্ষ্মণ ও তাদের মা সৌমিত্রী রায়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন নিহত কল্পনার বড় জার বড় ভাই সতীশচন্দ্র অধিকারী । পুলিশ কল্পনার স্বামী নৃপেণকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।”
একই বছর ১৫ মে তদন্ত কর্মকর্তা তারাগঞ্জ থানার এসআই মমতাজ উদ্দিন তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন জানিয়ে পিপি পলাশ বলেন, ঘটনার পর থেকে লক্ষ্মণ পলাতক। আর বিচার চলাকালে তাদের মা সৌমিত্রী রায়ের মৃত্যু হয়েছে।