বাংলাদেশি যুবকের প্রেমে নওগাঁয় থাই তরুণী

ফেইসবুকে প্রেম; আর সেই প্রেমে বাংলাদেশে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন থাই তরুণী।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2017, 10:21 AM
Updated : 18 May 2017, 11:02 AM

নাটোর আদালতে বুধবার বাংলাদেশি যুবক অনিক খানকে (২২) বিয়ে করেন সুপুত্তো ওরফে ওম (৩৬)।

এর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে সুফিয়া খাতুন নাম নেন তিনি। থাইল্যান্ডের চো-অম জেলার পিচচোবড়ি এলাকায় বাড়ি ওমের। বাবা উইছাই ও মা নট্টাফ্রন আলাদা অন্য দেশে থাকেন।

পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে ব্যাংকে চাকরি করলেও বর্তমানে খাবারের (ফাস্টফুডের) ব্যবসা করেন বলে জানান এই থাই তরুণী।

অনিকের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। সেখানে তার মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান রয়েছে।

সুপুত্তো বলেন, “ফেইসবুকে অনিকের সঙ্গে পরিচয়। ওর সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ধীরে ধীরে ওর প্রতি আমার আস্থা জন্মেছে।

“আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে শুধু আমার করে নেওয়ার জন্য এ দেশে ছুটে এসেছি।”

তিনি বলেন, “দোকানে বসে ফেইসবুক ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে অনিককে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠাই। অনিক প্রস্তাব গ্রহণ করলে আমাদের চেনা জানা শুরু হয়।”

“ফোনে কথাবার্তাও চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলি। গত ফেব্রুয়ারিতে বাবা-মার অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আসি।”

অনিককে দেখার পর আরও ভালো লাগে জানিয়ে এ থাই তরুণী বলেন, “অনিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তারা সায় দেয় না। মাত্র পাঁচ দিনের ভিসা নিয়ে আসায় তড়িঘড়ি দেশে ফিরে যাই।

“এ মাসের প্রথমদিকে আবারও অনিকের কাছে এসে তার পরিবারকে বিয়ের জন্য রাজি করাই। পরে বুধবার ধর্মীয় ও হলফনামামূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।”

সুফিয়া বলেন, “মানুষের জীবন একটা। জীবনের সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। যেটা আমার সমাজে নাই। আমি বিশ্বাস করি অনিক আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবে।”

অনিক বলেন, তিনি পড়ালেখা তেমন একটা করেননি। তবে ভাংগা ভাংগা ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারেন। দোকানে বসে অলস সময় কাটাতে গিয়ে ফেইসবুকে ওমের সঙ্গে পরিচয়।

“ধর্ম ও রাষ্ট্রের আইনকানুন মেনে বিয়ে করেছি।”

অনিকের বাবা আজাদ হোসেন বলেন, “মেয়েটি (সুফিয়া) খুব ভালো। মাত্র কদিনে সে আমাদের আপন করে নিয়েছে। আমরা গরীব মানুষ; শিক্ষিতও না। তাতে ওর কষ্ট নাই।”