নিখোঁজ শাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার, পরে মৃত্যু

নিখোঁজের একদিন পর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 10:49 AM
Updated : 17 May 2017, 10:49 AM

মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মোস্তাহির রাজ্জাক মামুর।

বুধবার সকালে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মৃত মামুর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী।

সিলেট রেলওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সকালে ফেঞ্চুগঞ্জের কালাকাঠি এলাকায় রেল লাইনের পাশের ডোবা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মামুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

“ওসমানী মেডিকেলে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুরকে মৃত ঘোষণা করেন।”

মামুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক সিলেট নগরীর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নর্থ ইস্টে কর্মরত চিকিৎসক এবং মা হোসনে আরা বেগম কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

মামুরের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জাওয়াবাজার এলাকায়। তিনি সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় মেডিকেল কলোনিতে বাবা-মার সঙ্গে বসবাস করতেন।

মামুরের খালু কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয় মামুন। রাতে বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করা হয়। ওই সময় তার ফোনও বন্ধ ছিল।

মামরকে কেউ ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ট্রেনে উঠতে হয় না। তাই ট্রেনে কেন উঠল বা ফেঞ্চুগঞ্জ কীভাবে গেল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।

ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, মামুর ট্রেন থেকে পড়ে গেছেন, নাকি কেউ তাকে ফেলে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মাথার পেছনে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা, বলেন ওসি।