নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার প্রধান আসামি তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল বাশার কাশুসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৯ জন আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য চারজন এখনও পলাতক।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আড়াইহাজার উপজেলার সদাসদি ইউনিয়ন বিএনপির তৎকালীন সভাপতি আবুল বাশার কাসু, জহির উদ্দিন, আবু কালাম, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই, খোকন, আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
এদের মধ্যে আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন পলাতক।
অতিরিক্ত পিপি জাসমিন আহম্মেদ বলেন, ২০০২ সালের ১২ মার্চ আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি গ্রামের ছাত্রলীগকর্মী বাবেক, তার ফুফাত ভাই বাদল, ওমর ফারুক ও কবীরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
“বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল বাশার কাশু এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেন।”
হত্যাকাণ্ডের পর নিহত বাবেকের বাবা আজগর আলী ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যামামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালে ২১ জনকে সাক্ষীসহ ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালত অভিযোগপত্র দাখিল করে।
জাসমিন বলেন, “২১ জনের মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক কামরুন্নাহার ২৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন।
“এটি একটি যুগান্তকারী রায়।”
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত বাবেকের ভাই আড়াইহাজার উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর পর মামলার রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। রায় দ্রুত কার্যকরে সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি।”
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ আলম মোল্লা এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা ন্যায় বিচার পাননি। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে তিনি জানান।