পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. সরোয়ার হোসেন খান জানান, রোববার বিকালে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে এই শিশু জেব্রার জন্ম হয়। জন্মের পরপরই মা জেব্রা তাকে যত্ন দিয়ে দাঁড় করিয়ে তোলে।
পার্কে গিয়ে বাচ্চাটিকে মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। অন্য কোনো জেব্রাকে কাছে ভিড়তে দিচ্ছে না মা জেব্রা।
সুপারভাইজার সরোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাচ্চাটি এখন মায়ের দুধ পান করছে। সপ্তাহখানেক পরে ঘাস খেতে শুরু করার কথা। ঘাসের পাশাপাশি জেব্রাশিশু সাত-আট মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে।
প্রজননের সময়ও এমন লড়াই হয় জানিয়ে সারোয়ার বলেন, “আগ্রহী পুরুষ জেব্রাদের মধ্যে ফাইটে যে জেতে তাকেই মাদি জেব্রাটি প্রজননে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়।
“এদের গর্ভকাল ১২-১৩ মাস দীর্ঘ হয়। বাচ্চার জন্মের সময়টা সাধারণত বর্ষাকাল হয়ে থাকে, যখন পর্যাপ্ত নতুন ঘাস জন্মায়।”
পার্কের ব্যবস্থাপক মো. শাহাবুদ্দিন জানান, অফ্রিকা থেকে ২০১৫ সালে পাঁচটা মর্দা ও ছয়টা মাদি জেব্রা আনা হয়। মর্দা জেব্রা চার বছরে আর মাদি জেব্রা তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে।
জেব্রার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এদের বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের মধ্যে শ্রবণশক্তি সবচেয়ে বেশি। আর এরা রাতেই ভালো দেখে। ঘোড়ার মতো এরাও যেদিক ইচ্ছে কান ঘুরিয়ে শব্দ শুনতে পায়। ডাক-চিৎকার ছাড়াও কান দিয়ে তারা তাদের ভাব বিনিময় করে। যখন এদের মেজাজ শান্ত থাকে তখন কানও স্বাভাবিক থাকে। ভয় পেলে কান দুটো সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে, আর রেগে গেলে হেলে পড়ে পেছনের দিকে। আশপাশে বিপদ আছে মনে করলে তাদের কান খাড়া হয়ে থাকে।