মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
সোমবার রাতে ঝিনাইদহ র্যাবের একটি টহল দলের হাতে গ্রেপ্তার হন পোড়াহাটি ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে মো. সেলিম (৪৫) এবং মতিউর রহমানের ছেলে প্রান্তকে (২০)।
দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আস্তানা সন্দেহে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে মঙ্গলবার সকালে অভিযান শুরু করে র্যাব।
দিনভর অভিযান চালিয়ে সুইসাইড ভেস্ট, বোমা, ডিনামাইট স্টিক ও বোমা তৈরির সার্কিট বোর্ড উদ্ধার করা হয়। পরে রাতের জন্য অভিযান স্থগিত করে র্যাব।
“রাত ১টার দিকে আব্দুল ওহাবের বাড়ির পাশ থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরার সময় সেলিম ও প্রান্তকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানা গেছে তারা নব্য জেএমবির সদস্য। ”
খন্দকার রফিকুল বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে র্যাব অভিযান শুরু করে। প্রান্তর বাড়ির পাশের বাঁশবাগানের ভিতর একটি গর্ত থেকে দুটি সুইসাইড ভেস্ট, কলাবাগান থেকে পাঁচটি বোমা উদ্ধার করা হয়। বাড়ি দুটির আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে ১৮টি ডিনামাইট স্টিক ও বোমা তৈরির ১৮৬টি সার্কিট বোর্ডে সন্ধান পাওয়া যায়।
পোড়াহাটি ইউনিয়নের সদস্য শওকত আলি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেলিম মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে নিহত ‘জঙ্গি’ তুহিনের ভাই। প্রান্ত তার চাচাত ভাই।
“তারা গ্রামের লোকদের সাথে মিশতো না। তাদের বাড়িতে গ্রামের কেউ যেত না।”