মঙ্গলবার বিকালে নগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিমানে তুলে দিতে জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্টু ও নগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ নেতাকর্মীরা বিকালে বিমানবন্দরে যান।
গয়েশ্বরকে বিদায় দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তর্কে জড়িয়ে পড়েন মুন্টু ও মিলন। হাতাহাতির এক পর্যায়ে মুন্টুকে লাঞ্ছিত করা হয়।
“এ সময় আমি তাকে বলি, আপনি (মিলন) নগর ইউনিটের দায়িত্বে আছেন নগরীতেই থাকেন। জেলা নিয়ে মাথা ঘামায়েন না। বেগম খালেদা জিয়া যদি আপনাকে (মিলন) জেলার দায়িত্ব দিয়ে থাকে তবে ঢাকায় চলেন। আমাদের সামনে যদি খালেদা জিয়া বলেন তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
মতিউর রহমানের দাবি, এরপর মিলন তার গায়ে হাত তোলেন এবং ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন। মিলনের লোকজন তাকে আবার লাঞ্ছিত করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তাকে তাকে রক্ষা করেন।
‘লাঞ্ছিত’ করার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করে শফিকুল হক মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ধরনের ঘটনার কথা কেউ বলে থাকলে তা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। মুন্টু আমার বড় ভাই ও রাজনৈতিক সহকর্মী।”
জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে রাজশাহী এসেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার নগর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ও মঙ্গলবার জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। জেলা ও নগরে দুই সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।