দশমিনা উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ হোসেনের আদালতে রোববার এ মামলা করেন আলীপুর গ্রামের আবুল হোসেন পেয়াদার স্ত্রী লাকি বেগম।
লাকির আইনজীবী ফারজানা আক্তার কাকলী জানান, মামলায় ওই গ্রামের বিধবা কাননবালা ও এক সাংবাদিকসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কাননবালার ছেলে অসীম দাসের অভিযোগ, গত ৭ মে সকালে এলাকার আবুল হোসেন পেয়াদা তার লোকজন নিয়ে তাদের বাড়ির গাছপালা কেটে ঘর তুলতে শুরু করেন।
এ সময় অসীমের মা কাননবালা বাড়িতে একা ছিলেন। তিনি দখলদারদের বাধা দেওয়ায় তারা তার ওপর নির্যাতন চালায়। মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় হোসেন পেয়াদাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিসহ কয়েকটি অভিযোগে একটি মামলা করেন অসীম দাস।
অসীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে হোসেন পেয়াদার স্ত্রী লাকি বেগম আমাদের নামে পাল্টা মামলা করেছেন।”
মামলার ১০ আসামির মধ্যে রয়েছেন দশমিনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণচন্দ্র দাসও।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু বিধবাকে মারধরসহ বিবস্ত্র করার ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
দশমিনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইউনুচ আলী কাননবালার ওপর নির্যাতন সম্পর্কে বলেছিলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত কানন বালাকে ‘বিবস্ত্র’ অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
কাননবালার একমাত্র ছেলে অসীম নৈশপ্রহরী। তার স্ত্রী মাধবী রানী ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করেন। কাননের চার মেয়ে। সবার বিয়ে হয়েছে।