উপজেলার ভাগ্যকূল, রাঢ়ীখাল ও বাঘরা এলাকায় সোমবার ভোরে এ ঝড় বয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি ঘর হারিয়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে ।
আহতদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী কোলাপাড়া গ্রামের মিতুল হোসেন জানান, সকাল ৭টার দিকে ঝড় শুরু হলে মুহূর্তের মধ্যে অনেক বাড়িঘর পেঁজা তুলার মতো উড়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় অনেক বাড়িঘর।
তিনি বলেন, “শুধু কোলাপাড় গ্রামেই অন্তত ৫০টি ঘরবাড়ি বিধস্ত এবং দুটি গরু মারা গেছে। পাশের রাঢ়ীখালে তিন দোকান বাজারে ৪০টি দোকান বিধস্ত হয় ও আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে।”
এছাড়া বাঘড়া, আল আমিন বাজার, বীর তারা ভাগ্যকূল এলকায় বহু বাড়িঘর বিধস্ত ও গাছপলা উপড়ে পড়েছে।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সায়লা বলেন, মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সব রকম সহায়তা দেবে জেলা প্রশাসন। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন হলে শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীনগর ছাড়াও জেলার লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি, সিরাজদিখান ও সদর উপজেলায়ও ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে এসব এলাকায় কিছু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। তবে ব্যাপক কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।