পুকুরে সরকারি ওষুধ: তদন্তে ৩ কমিটি, পুলিশের মামলা

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুরে সরকারি ওষুধ ফেলে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2017, 07:42 AM
Updated : 13 May 2017, 07:42 AM

শনিবার কমিটি তিনটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম।

এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার আটক হাসপাতালের ঝাড়ুদার শেফালী বেগম ও তার ছেলে মো. মামুনের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার এসআই আবু তাহের জানান, গভীর রাতে থানায় এসআই অরবিন্দু মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সরকারি ওষুধ চুরি ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।

শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুর থেকে ওষুধ উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর মধ্যে উদ্ধারকৃত ওষুধ হাসপাতালের মেডিসিন মেইন স্টোরের কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. ইউনুস আলীকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

এছাড়া উদ্ধার করা ওষুধ হাসপাতালের মেডিসিন সাব-স্টোরের কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান সহকারী পরিচালক (প্রশাসক) ডা. মশিউর আলম।

কমিটি দুটির প্রধানদের শনিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, এছাড়া পুলিশের হাতে আটক কর্মচারী শেফালী বেগম হাসপাতালে মহিলা মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাই ওই বিভাগের ওষুধ ইভেন্ট এবং বণ্টনের হিসাব তদন্ত করার জন্য ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপ-পরিচালক ডা. মো. আব্দুল কাদিরকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শুক্রবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪র্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুরে বিপুল পরিমাণ সরকারি হাসপাতালের ওষুধ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।

পরে পুকুর এবং কোয়ার্টারের একটি পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ।