শুক্রবার মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কোয়ার্টারের পুকুরে এসব ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলোর কয়েকটিতে সরকারি সিল মারা রয়েছে।
এ ঘটনায় বরিশাল মেডিকেলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্যাকেটের গায়ে থাকা ব্যাচ নম্বর দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ওষুধগুলো সরকারি হাসপাতালের।
বিষয়টি তদন্ত করার জন্য শনিবার একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই আবু তাহের জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুকুরে ভাসমান ওষুধগুলো তুলে ফেলে পুলিশ।
“ওষুধগুলো সরকারি বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসআই তাহের বলেন, সকালে পুকুরে ওষুধগুলো ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়।
পরে কোয়ার্টারের হাসপাতালের ঝাড়ুদার শেফালী বেগমের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকেও বেশকিছু ওষুধ উদ্ধার হয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শেফালী ও তার ছেলে মামুনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওষুধের তালিকা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।