শুক্রবার উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে মনিরা খাতুনের (২৭) লাশ পাওয়া যায়।
তিনি ওই গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং একই উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নওয়ালি গ্রামের হাসান আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের ওসি শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এক সন্তানের জননী অন্তঃসত্ত্বা মনিরা খাতুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার বাবার বাড়ি সোনাকুড় গ্রামের বাড়িতে আসেন। রাতে বাবার বাড়িতে না থেকে পাশের চাচার বাড়িতে ঘুমাতে যান।
“সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে খর নিতে গিয়ে দেখেন একটি কক্ষে তিনজন অচেতন হয়ে পড়ে আছেন এবং পাশের কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচানো এবং মুখে অসংখ্য আঁচরের চিহ্নসহ পড়ে আছে মনিরার মরদেহ।”
মতিয়ার জানান, মনিরার মরদেহের পাশে পাওয়া যায় একই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে শিমুল বিশ্বাসের (২৭) মানিব্যাগ ও মনিরার লেখা একটি চিঠি। ওই চিঠিটি মনিরা তার মায়ের উদ্দেশে লিখেছেন।
“এতে তিনি শিমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকর কথা এবং বাড়ি ছেড়ে তার সঙ্গে চলে যাওয়ার কথা লেখেন।”
মতিয়ার আরও জানান, মনিরার শরীর থেকে সব গহনা খুলে নেওয়া হয়েছে। শিমুলের কোনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন মনিরার চাচি রাশিদা বেগম (৩০), চাচাত ভাই সাইফুল (১৬) ও ফুফু জাহানারা বেগম (৫০)।
কিছুটা জ্ঞান ফিরলে সাইফুল জানান, রাতে মনিরা তাদেরকে ফ্রুট ড্রিংক ‘রাসনা’ পান করতে দেন। রাসনা খাওয়ার পর তাদের আর কিছু মনে নেই।
মনিরার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।