কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া বাজারে এ ঘটনায় রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহত ওহিদুল ইসলাম (৩৫) খামারমুন্দিয়া গ্রামের গোলাপ হোসেন শেখের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে রায়গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান।
এ নিয়ে রাতে দুলালমুন্দিয়া বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সালিশ বসে। বৈঠক চলাকালে গণ্ডগোল শুরু হলে এক পর্যায়ে একপক্ষের লোকজন বৈঠকে উপস্থিত ওহিদুল ইসলামসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করে।
আহতদের প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওহিদুল ইসলামকে নেওয়া হয় যশোর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ওহিদুলের মৃত্যু হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে শালিস বসেছিল। এর মধ্যে শাহজাহান আলীর পক্ষ হামলা চালায়।”
আহতদের মধ্যে রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেনও ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন নামে দুইজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।