শুক্রবার সকাল ৯টার কিছু সময় আগে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর মাছমারা বেনীপুর গ্রামে ওই বাড়ি ঘিরে পুনরায় অভিযান শুরুর আগে মাইকিং করে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আশপাশের এক বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সবাইকে নিরাপত্তার স্বার্থে যার যার বাড়িতে অবস্থান করতে অনুরোধ করা হয়।
পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, ওই বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরক থাকলে তা নিষ্ক্রিয় করা হবে। বাইরে পড়ে থাকা পাঁচ জঙ্গির লাশ সরানো হবে তারপর।
গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুল আলম মুন্সি জানান,পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি (লফুল ইন্টারসেপশন সেন্টার) থেকে তথ্য পেয়ে বুধবার রাত ৩টার দিকে থানা পুলিশের সদস্যরা ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন। সেখানে ছয়জন জঙ্গি থাকতে পারে বলে তথ্য ছিল তাদের কাছে।
এরপর পুলিশ সেখানে অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই বাড়িতে পানি ছিটানো শুরু করলে এক শিশুকে কোলে নিয়ে আরেক বালককে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
এর কিছু সময় পর ওই বাড়ি থেকে দুই নারীসহ কয়েকজন বেরিয়ে আসে এবং বাইরে থাকা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় সাত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আবদুল মতিন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ব্রিফিংয়ে এসে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআআজি মাসুদুর রহমান ভুইয়া জানান, আলোর স্বল্পতার কারণে ‘অপারেশন সান ডেভিল’ রাতের মতো স্থগিত থাকছে। সকালে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এলে আবারও অভিযান শুরু হবে।
তিনি বলেন, “ভেতরে আর কেউ নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতরা জেএমবির সদস্য এবং সবাই আত্মঘাতী হয়েছে।”
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা হলেন- ওই বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন, তার স্ত্রী বেলী, তাদের ছেলে আলামিন, মেয়ে কারিমা এবং আশরাফুল নামের এক জঙ্গি, যার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীপুর গ্রামে।