ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুখপাত্র হাজারী আল মুনির মঙ্গলবার রাতে এই মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সময় জনতার হাতে আটক আব্দুল আহাদ মোহাম্মদ উল্লাহ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজনকে আসামি করা হয়েছে মামলার এজাহারে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার কানপুর গাংপাড়া গ্রামের আহমদিয়া মসজিদের ইমাম মোস্তাফিজুরকে সোমবার রাতে কুপিয়ে জখম করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আহাদকে আটকের পর মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা। আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নেত্রকোণার কলমাকান্দার চারিয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আহাদ বুধবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মমতের বিরোধের কারণে মোস্তাফিজুরকে হত্যার জন্যই তারা তিনজন হামলা চালিয়েছিলেন।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, আহাদ পুলিশকেও একই কথা বলেছেন।তবে তার দুই সঙ্গীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল জানান, আসামি আহাদ সুস্থ হলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া আহাদের স্ত্রী জোসনারা বেগম, দুই ভাই আইনুদ্দিন ও মাইনুদ্দিনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে নেওয়া হয়েছে।
গাংপাড়া গ্রামের আহমদিয়া মসজিদের মোয়াজ্জিন আইয়ুব আলী জানান, মাস দুই আগে ঢাকা থেকে কোনো একটি মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন ‘হুজুর’ তাদের এলাকায় যান এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদটি রাখা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়ে যান।
দিনাজপুরের কাহালু উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ওই মসজিদের পাশেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার রাতে এশার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তিনি হামলার শিকার হন।