ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা: অভিযোগ গঠন ২৩ মে

বিজ্ঞান লেখক ও সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের দিন রেখেছে আদালত।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপিমফুর আলী জানান, সোমবার বিকালে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মে অভিযোগ গঠনের দিন রাখেন।

সম্পূরক অভিযোগপত্রে ছয় আসামি হলেন, আবুল হোসেন (২৫), ফয়সাল আহমদ(২৭), মামুনুর রশীদ (২৫), মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এবি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) ও সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। 

এদের মধ্যে আবুল, ফয়সাল ও হারুন পলাতক রয়েছেন।

প্রথম অভিযোগপত্রে পাঁচ জনকে আসামি করা হলেও সম্পূরক অভিযোগপত্রে যুক্ত করা হয়েছে উগ্রপন্থী ব্লগার সাফিউর রহমান ফারাবীর নাম। আর অব্যাহতি দেওয়া হয় ফটো সাংবাদিক ইদ্রিসসহ ১০ জনকে।

এর আগে গত বছরের ২৮ অগাস্ট ৩০২ ও ৩০ ধারায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে পর্যবেক্ষণ আদেশে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

পরে সন্ত্রাসবিরোধী ধারা যুক্ত করে গত ১৮ জানুয়ারি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী।

২০১৫ সালের ১২ মে সকালে কর্মস্থলে পথে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অনন্ত বিজয় দাশকে (৩২)। 

পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লিখতেন। তার লেখা ও সম্পাদিত বিজ্ঞান-বিষয়ক বই রয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক ছোটকাগজ 'যুক্তি'সম্পাদনা করতেন তিনি। সিলেটে পরিচালিত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলেরও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনন্ত বিজয়।

ঘটনার একদিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।