বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
বরখাস্তরা হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া ক্যাম্পের ফরেস্টার আব্দুর রউফ, বনপ্রহরী বিধান চন্দ্র হালদার, আলী আহম্মাদ, নৌকা চালক সুলতান হাওলাদার এবং শরণখোলা রেঞ্জের গোলপাতা কুপের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন ও মোবারক হোসেন এবং বন প্রহরী হারুন অর রশিদ, আব্দুল আউয়াল, মো. বাদশা শেখ, আব্দুর রশিদ শিকদার, নৌকা চালক সেলিম সরদার ও নুরুল ইসলাম।
তাদের বিরুদ্ধে শরণখোলা রেঞ্জের বন থেকে সুন্দরী গাছ কেটে গোলপাতার আড়ালে পাচার এবং চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া টহল ফাঁড়ি এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার ঘনফুট সুন্দরী গাছ কেটে পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় সাময়িক বরখাস্তের এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বন কর্মকর্তা আমির জানান।
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তত ১৫ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে ঘটনা খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের উপ বন সংরক্ষক বশিরুল মামুন এবং শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহম্মদ হোসেনকে প্রধান করে গঠিত এ দুটি কমিটি গত ৪ মে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।