ভোলায় এক ঘরে ১৮০ সাপ

ভোলা সদর উপজেলার এক বাড়ি থেকে ১৮০টি সাপের বাচ্চা ও ৬০টি ডিম পাওয়া গেছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2017, 02:40 PM
Updated : 7 May 2017, 02:40 PM

উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর গ্রামের জেলে মোতাহার হোসেন বয়াতির ঘরের মধ্যে থেকে কত কয়েক দিন ধরে এ সাপ ও ডিম পাওয়া যায় বলে জানান ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু সালেম।

ডিম ও বাচ্চা ধরা পড়লে বড় সাপ ধরা না পড়ায় গ্রাম জুড়ে চলছে আতঙ্ক।

মোতাহার হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে কুপির আলোতে ঘরের মধ্যে একটি গর্ত দিয়ে এক-দেড় হাত লম্বা একটি সাপ বের হতে দেখে তারা ধাওয়া করলে আবার গর্তে ঢুকে যায়।

“পরে রাতে মাটি ও ইট দিয়ে গর্তের মুখ বন্ধ করে দিয়ে ওঝা খবর দেওয়া হয়। পর দিন সকালে রামদাশপুর থেকে আবু ওঝা এসে গর্তের মুখ খুলে দিলে একে একে ১৫টি বাচ্চা সাপ বেরিয়ে আসে।

“সাপগুলো মেরে বাড়িতে ধূলা পড়া ছিটিয়ে ওঝা জানিয়ে চলে যায়। পর দিন  ওঝা আমেনা বেগম ও গ্রামবাসী মাটি খুঁড়ে আরও ৫০টির মতো সাপ মারেন।”

এভাবে শনিবার পর্যন্ত ১৮০টি সাপ ও ৬০ টি ডিম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মোতাহারের ছেলে ইব্রাহীম বয়াতি বলেন, সাপুড়ে ও ওঝার ভাষ্যমতে এখনও অনেক সাপ আছে। এগুলো বিষধর গোখরা সাপ।

সাপ নিয়ন্ত্রণে ঘরের চারপাশে জাল টেনে ধূপ-ধুলা পড়াসহ তাবিজ-তুমার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইউপি সদস্য আবু সালেম বলেন, সাপ আতঙ্কে কত কয়েক রাত থেকে ওই পরিবার ও আশপাশের মানুষের ঘুম নেই। পুরো গ্রাম জুরে এখনও সাপ আতঙ্ক।

ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোমেন মিয়া বলেন, একটি সাপ ৩০ থেকে ৪০ টি ডিম দিতে পারে। সাপ সাধারণত নিরাপদ স্থানে ডিম পেড়ে চলে যায়। পরে এমনিতেই বাচ্চা ফোটে ও সেগুলো নিজে নিজে অন্যত্র চলে যায়।

“সে হিসাবে বোঝা যাচ্ছে, ঘরের মধ্যে একাধিক সাপ ডিম দিয়েছে। সাপের বাচ্চা বা ডিম না দেখে বলা যাবে না আসলে এগুলো কোন জাতের সাপ।”