বয়লার বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে রোববার দিনাজপুরে তিনি একথা বলেন।
সব চালকল সরকারি নিয়মনীতি মেনে চলছে কিনা সে বিষয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে কল-কারখানা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন দাখিলের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৯ এপ্রিল দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণে ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন, যাদের মধ্যে মারা যান ১৭ জন; চারজন রয়েছেন চিকিৎসাধীন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানে মুজিবুল হক বলেন, আইন অমান্য করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, শ্রমিক জোটের সভাপতি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর শাহমুদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার।
বয়লার বিস্ফোরণে এত বেশি প্রাণহানির ঘটনায় এখনও মিল মালিক সুবল ঘোষ গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক জোট সভাপতি শিরীন আখতাল।
মিল মালিককে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি প্রতিটি চালকলে কর্মরত সকল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র এবং পরিচয়পত্র নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।
বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১৭ জন এবং আহত চারজনের প্রত্যেক পরিবারের মাঝে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।