শনিবার ব্রাহ্মণবড়িয়া জেলা পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জঙ্গি দমনে জাতীয় পর্যায়ে নতুন আরেকটি ইউনিট করা হচ্ছে; পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট হচ্ছে।
দেশে জঙ্গি দমনে স্বচ্ছতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই দাবি করে আইজিপি বলেন, “শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়েই জঙ্গি দমন করা হচ্ছে। প্রতিটি অভিযানের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
“এছাড়াও জঙ্গিদের আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমেও তাদেরকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা যখন আত্মসমর্পণ না করে নিজেরা আত্মঘাতী হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে তখন বাধ্য হয়েই পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ করতে হয়।”
হেফাজতের তাণ্ডবের মামলাগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব মামলারই তদন্ত চলছে। এসব মামলায় অনেকেই জড়িত রয়েছে। আসামির সংখ্যা বেশি, তাই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে একটু সময় লাগছে।
কবে নাগাদ মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ সময় আইজিপির সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশ লাইনে আয়োজিত বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপির সহধর্মিনী ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী শামসুন্নাহার রহমান।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ও নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম। এছাড়া পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।