রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম জানান, আঠারো দিন চিকিৎসাধীন থেকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সাইদুল আমলা (৪০) মারা যান।
এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৭। চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানান ডা. মারুফুল।
সাইদুল আমলা দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা এবং ওই মিলের শ্রমিক ছিলেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে ১৯ এপ্রিল বয়লার বিস্ফোরণে ২১ শ্রমিক দগ্ধ হন।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জনের মৃত্যু হলো।
চিকিৎসক মারুফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন দুই শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর সুস্থ হওয়ায় একজনকে ২৩ এপ্রিল রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন মিয়ার (৩৫) অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সারওয়ার জাহান। ঢাকা পাঠানোর আগে সুমনকে এ হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।