জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরের এ বিদ্যালয়টি থেকে এ বছর ৬৫ জন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ৬৪ জন পাস করেছে।
প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৬৫ জনের মধ্যে ২৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। একজন ফেল করলেও বাকি সবাই ‘এ’ গ্রেডে পাস করেছে।
“আর ওই ছাত্রেরও ফেল করার কথা না। সব বিষয়ে ‘এ প্লাস’ পেলেও সাধারণ বিজ্ঞানে ফেল দেখা যাচ্ছে। অথচ এ বিষয়েও সে ‘এ প্লাস’ পাওয়ার মতো পরীক্ষা দিয়েছে। পুনর্মূল্যায়নে ‘এ প্লাস’ পাবে বলে আশা করছি।”
কিন্তু ভালো ফল করলেও বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দোচ্ছ্বাস নেই।
“আর জেলার সরকারি-বেসরকারি ৩২৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে সাত বছর ধরে। শিক্ষকদের প্রাণপণ চেষ্টায় এটা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়টি এখনও এমপিওভুক্ত হলো না। এতে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা দানা বাঁধছে।”
২০০৬ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে তিন একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি চালু হয়। বর্তমানে ১৫ জন শিক্ষক ও ৩২৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া ইয়াসমিন হতাশার সঙ্গে বলেন, “আমাদের শিক্ষকদের সরকারি চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে।
“এ নিয়ে মাঝেমধ্যে দুশ্চিন্তা হয়। আশায় ছিলাম যে বিদ্যালয়টি সরকারি হবে। কিন্তু হলো না। শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। আশ্বাস আশ্বাসই রয়ে গেছে।”
একই কথা বলেন শিক্ষক শরিফ আনিস আহমেদসহ অন্যরাও।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্ম এই কুতুবপুর গ্রামে। ১৯৭১ সালে শহীদ বাবা ফয়জুর রহমানসহ সব শহীদের স্মরণে সেই গ্রামেই হুমায়ূন তার স্বপ্নের এ বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
চৌদ্দ কক্ষের বিদ্যালয় ভবনে একটি লাইব্রেরি, একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব ও ফটোগ্যালারি রয়েছে।