ঢাকা বোর্ডে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮৬ শতাংশেরও বেশি পাশ করলেও ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
মদন পৌর শহরে স্থাপিত ‘মদন আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজ’ থেকে ৫৯ জন এবং উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের ধোবাওয়ালায় স্থাপিত ‘ধোবাওয়ালা কারিগরি বিদ্যালয়’ থেকে ৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
এ দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম গাজী। তিনি মদন আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের অধ্যক্ষ এবং ধোবাওয়ালা কারিগরি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি।
রফিকুল ইসলাম গাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুটি বিদ্যালয়েই চারজন করে শিক্ষক দেখিয়ে ২০১৪ সালে তিনি দুই প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সরকারি অনুমোদন নেন। কোনোটিতেই স্থায়ী শিক্ষক না থাকলেও ৩/৪ জন করে খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন প্রতিটিতে।
এখনও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তিনি স্কুল দুটিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছেন না বলে জানান।
“তাই দুটি স্কুলই আমি একাই সামলাই,” বলেন তিনি।
এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় এ দুইটি বিদ্যালয়ের কেউ পাশ করতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, এভাবে সবার ফেল করার কথা না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ফেল দেখাচ্ছে। এখনও কারিগরি বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল দেয়নি। মনে হয় কোথাও কোনো ভুলের কারণে এরকম ফেল দেখাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নিয়ে তিনি বলেন, ধোবাওয়ালা কারিগরি বিদ্যালয়ে একটি টিনের ঘর আছে। তাতে বেঞ্চ-টেবিল রাখা আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মদন পৌর শহরে স্থাপিত ‘মদন আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের’ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম গাজীই আবার তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের ধোবাওয়ালায় স্থাপন করেছেন ‘ধোবাওয়ালা কারিগরি বিদ্যালয়’।
“ধোবাওয়ালা কারিগরি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের তিনি সভাপতি। দুইটি প্রতিষ্ঠানই রফিকুল ইসলাম গাজী চালাচ্ছেন।”
এ ব্যাপারে জানতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল্লাহর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।