বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম।
এবছর বরিশালে পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, যেখানে গত বছর পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর আগের বছর ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০১৫ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী কমলেও তা ছিল তিন হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী।
তবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে নেমে এসেছে দুই হাজার ২৮৮ জনে।
পাসের হার ও জিপিএ ৫ এর সংখ্যা কমার কারণ হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, “গণিত বিষয়ে সৃজনশীল হওয়ার প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার ফলে।
“তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষক-ই সৃজনশীল বোঝেন না; ফলে শিক্ষার্থীদেরও বোঝাতে পারেন না।”
অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, “বিগত দিনে একটা অভিযোগ ছিল, জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বাড়ছে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে গিয়েই জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমছে।”
এবার এসএসসির ফলে সারা দেশেও কমেছে জিপিএ-৫ ও পাসের হার; সারা দেশে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী, যা গতবারের তুলনায় পাঁচ হাজার কম।
এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার পেছনে নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষার খাতার যথাযথ মূল্যায়ন হওয়ার কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এবছর বরিশাল বোর্ডে মোট ৯৪ হাজার ৪১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ হাজার ৩৫৮ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৩৫ হাজার ৩৯১ জন এবং ছাত্রী ৩৬ হাজার ৯৬৭ জন।
পাসের দিক থেকে এবছরও ছাত্রীরা এগিয়ে।
ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
জিপিএ ৫ পাওয়ার দিক থেকেও এগিয়ে ছাত্রীরা। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী এক হাজার ২৫৫ জন এবং ছাত্র এক হাজার ৩৩ জন।