বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা: গ্রেপ্তার শহীদের মুক্তি

শ্রীপুরে বাবা-মেয়ের ট্রেনের নীচে আত্মহত্যার মামলার আসামি মনে করে যে শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল, একদিন পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2017, 06:11 PM
Updated : 3 May 2017, 06:11 PM

শ্রীপুর থানার এসআই মো. কায়সার বলেন, ওই শহীদ মামলার আসামি নন বলে বাদী শনাক্ত করার পর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

এসআই কায়সার জানান, মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর কর্ণপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা মো. শহীদুল ইসলাম শহীদকে (৪০)। তিনি শ্রীপুর থানার কর্ণপুর গ্রামের মো. নাজির উদ্দিনের ছেলে।

“কিন্তু তাকে রেলওয়ে থানা পুলিশে হস্তান্তরের আগে শনাক্ত করতে গিয়ে বাদী হালিমা বেগম বলেন ওই শহীদ মামলার আসামি নন। তিনি অন্য শহীদ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. ইয়াসিন জানান, ট্রেনের নীচে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি শহীদ গ্রেপ্তারের খবর শুনে বুধবার বিকালে রেলওয়ে থানার এএসপি (সার্কেল) মো. ওমর ফারুক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী আকবর শ্রীপুর থানায় যান।

পরে তারা ওই ঘটনা জানতে পারেন। এরপর বাদীকে দিয়ে শনাক্ত করার পর ওই শহীদ শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছ রেখেইে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যান বলে জানান ইয়াসিন। 

শ্রীপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্নপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্ত এ শহীদ মামলার আসামি শহীদ নয় বলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে গত শনিবার ওই মামলার এজহারভুক্ত আসামি গোসিঙ্গা ইউপির এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবুল হোসেন ওই মামলার ৭ নম্বর আসামি। এক নম্বর আসামি মো. ফারুকসহ অন্য আসামিদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলাপুর রেলওয়ে থানার এসআই মো. আলী আকবর জানান, বসত ঘরের জায়গা দখল চেষ্টা এবং স্থানীয় কর্নপুর ভিটিপাড়া গ্রামের মো. হযরত আলী ও তার আট বছরের শিশু আয়শা নির্যাতনের সুবিচার না পাওয়ায় গত শনিবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রেনের নীচে পড়ে বাবা মেয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনার প্ররোচণার অভিযোগে ওইদিনই শ্রীপুর থানা পুলিশ গোসিঙ্গা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আবুল হোসেনকে আটক করে কমলাপুর রেলওয়ে থানা পুলিশে দেয়। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে দুইদিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ।

ঘটনার পরদিন রোববার নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম গ্রেপ্তার ওই মেম্বার ও শহীদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে কমলাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।