বুধবার বিকালে এ ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাইদা গ্রামের হেমায়েত মীরের মেয়ে সোনালী আক্তার (১০) ও তার চাচাত বোন তিথি (১০)।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আব্দুস শাফিউল আলম জানান, ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার আমির হোসেন ৩৩ হাজার ভোল্টের তারের নিচে ভবন করেছেন। একপাশে ছয় তলা এবং আরেক পাশে ৩৩ হাজার ভোল্টের তারের নিচে তিন তলা ভবন নির্মাণাধীন।
তিনি বলেন, আমির হোসেনের দুই তলার ভাড়াটিয়া সুমনের শ্বশুর হেমায়েত মীর পরিবারের লোকজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। বিকালে ওই দুই শিশু তিন তলার অংশের ছাদের দরজা খোলা পেয়ে খেলতে যায়।
“এ সময় তারা ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।”
এসআই শাফিউল জানান, আশপাশের লোকজন তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নগরীর খানপুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক আমির হোসেন পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।