অবরুদ্ধ দশা থেকে ১৩ ঘণ্টা পর মুক্ত রোকেয়ার উপাচার্য

পুলিশের হস্তক্ষেপে ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে মধ্যরাতে বাসায় ফিরলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2017, 05:26 PM
Updated : 3 May 2017, 08:29 PM

চাকরি দেওয়ার দাবিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা কক্ষে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

সারা দিন এ অবস্থা চলার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃতিশ চন্দ্র বর্মণ এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হল শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ইমতিয়াজ বসুনিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এই দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাই উপাচার্য নূর-উন-নবীকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে অবরোধ থেকে না সরলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর তারা উপাচার্যের পথ ছাড়েন।

উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী ২০১৩ সালের ৬ মে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। তার আগের উপাচার্য মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে।

৫ মে শুক্রবার নূর-উন-নবীর উপাচার্যের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

তার আগের দিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করার পর ছাত্রলীগ নেতা মৃতিশ চন্দ্র বর্মণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রলীগ নেতাদের চাকরি দেওয়ার দাবি করে আসছিলাম।

“স্যার কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। তাই আমরা নেতারা চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সকাল ১১টায় স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাই।

“কথা না শুনে অশালীন আচরণ করায় দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখি।”

এ বিষয়ে উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী দুপুরে মোবাইল ফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে সিন্ডিকেট সভা কক্ষে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে সভা করছিলাম। কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে সভা শেষ হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতারা এসে আজই চাকরি দেওয়ার দাবি করে।

“আমি তাদের বলেছি, ইউজিসির নিয়মের বাইরে কোনো কিছু করার এখতিয়ার আমার নেই। পরে ওরা বের হয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।”