বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মেজর সাইফুল হকের স্ত্রী শামীমা নাসরিন এ অভিযোগ করেন।
একইসঙ্গে শামীমা তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ের সন্ধানও দাবি করেন।
মেজর একেএম সাইফুল হক (বিএ নং ৫২২০) চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত রয়েছেন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বলে জানান শামীমার আইনজীবী সারওয়ার হোসেন বাবুল্।
সংবাদ সম্মেলনে শামীমা নাসরিন বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ২০০২ সালের ২৫ জুন সাইফুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাইফুল যৌতুক চাইতে শুরু করেন। তাতে রাজি না হলে এক পর্যায়ে ইনস্যুরেন্সের কথা বলে স্ত্রীর কাছ থেকে কৌশলে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাকে তালাক দেন সাইফুল।
পরবর্তীতে চাকরিতে অসুবিধা হতে পারে বিবেচনায় ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর আবার কাবিননামার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয় বলে শামীমা জানান।
তিনি আরও বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে সংসার করতেও অস্বীকৃতি জানান সাইফুল। এ অবস্থায় গত দুবছর থেকে গাইবান্ধার থানাপাড়ায় বাবার বাড়িতে শামীমা অবস্থান করছেন।
গত ২২ অগাস্ট তিনি সাইফুলের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা বিচারিক হাকিমের আদালতে যৌতুক বিরোধী আইনে মামলা করেন। ১১ ডিসেম্বর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শামীমা বলেন, “তাসিনুল হক নামে আমার ১৩ বছর বয়সী সন্তানকে কোথায় কী অবস্থায় রাখা হয়েছে তাও আমি জানি না।”
অ্যাডভোকেট সারওয়ার হোসেন বাবুল বলেন, মেজর সাইফুল হককে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিল আদালত। এরপর আরও তিনটি ধার্য দিন উত্তীর্ণ হলেও সাইফুল হাজির হননি।
“ফলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাইফুল গ্রেপ্তার হননি। তিনি মামলায় কোনো আইনজীবীও নিয্ক্তু করেননি।”
এ ব্যাপারে সাইফুল হকের মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।