বুধবার সকালে ওই দুই আদালত ছাড়া অন্য আদালতে আইনজীবী সহকারীরা হাজিরা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে গেলে দুয়েকটি আদালত বাদে অন্যান্যগুলোতে পেশকাররা হাজিরা নিতে ও কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ নিয়ে আদালত পাড়ায় আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এর জেরে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনের চত্বরে আইনজীবীরা সকাল ১১টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তরা আদালতে অচলাবস্থার জন্য জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদারকে দায়ী করেন এবং তিনি শেরপুর ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার আদালত বর্জনসহ আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন।
আইনজীবীদের সমাবেশের পর দুপুর ১২টার পর থেকে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলেছে।
জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার এবং জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুমিনুন্নেছা খানমের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতির সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য এবং জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এক মাসের জন্য বর্জনের কর্মসূচি দেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমকে মুরাদুজ্জামান জানান।