বুধবার উপজেলার ভোজেশ্বর বন্দর এলাকায় নদী থেকে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. জুলহাস জানান।
নিহত রনি (১৯) উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের আনাখন্ড গ্রামের ইলিয়াছ বেপারীর ছেলে। ভোজেশ্বর বাজারে শাহ থাই অ্যান্ড স্টিল কিং এ মিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি।
তাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি স্বজনদের।
এসআই জুলহাস জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে দোকানে যান রনি। সেখানে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মালিক সবুজ সাহার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় তার।
“দুপুরে বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে দোকানে খুঁজতে গিয়ে তাকে পায়নি। যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা ইলিয়াছ বেপারী নড়িয়া থানায় বিষয়টি জানান।”
দুপুরে কীর্তিনাশা নদীতে রনির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয় বলে জানান এ এসআই।
রনির চাচা আতিকুর রহমান বলেন, “বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মালিকের সঙ্গে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে রনিকে হত্যা করা হতে পারে বলে আমরা ধারণ করছি।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দোকান মালিক সবুজ সাহা বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে কাজ শেষে রনি বাড়িতে খেতে যায়। তারপর তার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সন্ধ্যায় স্বজনদের কাছে শুনতে পাই তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।”
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. আবদুল হান্নান বলেন, নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।