রোকেয়ার উপাচার্য অবরুদ্ধ

চাকরির দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) এ কে এম নূর-উন-নবীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2017, 11:47 AM
Updated : 3 May 2017, 11:47 AM

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা কক্ষে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ মুখতার ইলাহী হল ছাত্রলীগ শাখার নেতাকর্মীরা, যাদের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাদীউজ্জামান হাদী।

তবে এ কর্মসূচির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃতিশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রলীগ নেতাদের চাকরি দেওয়ার দাবি করে আসছিলাম।

“স্যার কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার (৫ মে) তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। তাই আমরা নেতারা সকাল ১১টায় চাকরির দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সকাল ১১টায় স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাই।

“কথা না শুনে অশালীন আচরণ করায় দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখি।”

দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানান মৃতিশ চন্দ্র।  

একই অভিযোগ করে শহীদ মুখতার ইলাহী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, “এখন অবরুদ্ধ করে রেখেছি। ৫ মের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে মোবাইল ফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে সিন্ডিকেট সভা কক্ষে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে  সভা করছিলাম। কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে সভা শেষ হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতারা এসে আজই চাকরি দেওয়ার দাবি করে।

“আমি তাদের বলেছি ইউজিসির নিয়মের বাইরে কোনো কিছু করার এখতিয়ার আমার নেই। পরে ওরা বের হয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।”

অশালীন আচরণের অভিযোগ অস্বীকার বলে তিনি বলেন, “৫ মে আমার উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হবে। এ সময় অযৌক্তিক দাবি নিয়ে এসে তারা ঠিক করেনি।”

শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৩ সালের ৫ মে মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াকে উপাচার্যের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় আচার্যের দপ্তর। একই বছরের ৬ মে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ কে এম নূর-উন-নবী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বলেন, “আমাদের না জানিয়ে তারা উপাচার্য স্যারকে অবরুদ্ধ করেছে। এটা ঠিক হয়নি।”