রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকা থেকে বুধবার সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এরা হলেন- রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার মোহাম্মদ কাইয়ুম হাওলাদার ওরফে মিঠু (৩২) ও উত্তর মাণ্ডার মো. সেলিম (৩২)।
গত ৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতটি হাতবোমা, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও জিহাদি বইসহ জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের আট সদস্যকে আটক করে র্যাব।
ওই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র্যাবের দায়ের করা মামলায় মিঠু ও সেলিম এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক শাকিল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়, গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্যদের পরিকল্পিত নাশকতা কর্মকাণ্ডে তারা সম্পৃক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন।
বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়, জেএমবি সদস্য মিঠু গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন। ২০১২ সালে পিরোজপুরে থাকাকালীন মামুন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন। এরপর ২০১৬ সালের শুরুতে সারোয়ার-তামিম গ্রুপে যোগ দিয়ে ঢাকা, লালমনিরহাট, পিরোজপুর, বাগেরহাট, গাইবান্দা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেন মিঠু।
এছাড়া লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং নোয়াখালীর বিভিন্ন চরে গিয়ে তিনি জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য স্থান নির্ধারণের কাজ করত বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্ততিতে আরও বলা হয়, আরেক সদস্য সেলিম গত ঢাকায় বসবাস করেন ১৫ বছর ধরে। তিনি মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানির মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হন। পরে মোনতাছির নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২০১৬ সালের শুরুতে সারোয়ার-তামিম গ্রুপে যোগদান করেন। এরপর সক্রিয় সদস্য হিসেবে দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন সেলিম।
বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশ ধারণ করে জঙ্গিবাদী ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে তা সমমনাদের প্রচার করতেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।