তদন্ত কমিটির প্রধান সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. উদয় নারায়ণ মোহন্ত রোববার প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গত ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত এক সহকর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে মারা যান কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবাইদা রহমান।
উদয় মোহন্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন।
ডা. মনিরুজ্জামান ও নার্স জোবাইদা রহমানকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। কোনো গাফলতি ছিল না। তদন্তপূর্বক ৩০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. মনজুর রহমানের কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
“তবে কী ধরনের বিষ মেশানো ছিল সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই খাদ্যের নমুনা ঢাকায় ফরেন্সিক পরীক্ষার করার জন্য পাঠানো হয়েছে।”
সেখানকার রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হাসান বাদী হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে তিন জনকে আটক পুলিশ আটক করেছিল তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
“পুলিশ জানিয়েছে বর্তমানে হাসপাতালে কর্তব্যরতদের উপর নজরদারি রয়েছে। তদন্তে কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা অফিসের প্রধান সহকারী আলমগীর ফেরদৌসের বাসায় দাওয়াত খান। সেখান অফিসের স্টাফরা খাবার এনে অফিসে দিলে ডা. মনিরুজ্জামান, নার্স জোবাইদা ও আলমগীর তা খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এরপর তাদের বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে প্রথমে নার্স এবং ঘণ্টাখানেক পরে মনিরুজ্জামান মারা যান।
এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।