মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরে সহস্রাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ত্রাণের চাল চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানায়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার দাবিও জানান।
উপজেলার খালিয়াজুরি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সোমবার বিতরণকরা ত্রাণের চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
খালিয়াজুরী সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ডাকবাংলোর সামনের সড়কে মানববন্ধন করে বিক্ষোভকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জব্বার, জেলা পরিষদ সদস্য আবু ইসহাক, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নিহারেন্দু দেব রায়, কৃষক মনির হোসেনসহ অন্যরা।
গোলাম কিবরিয়া জব্বার বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলায় ত্রাণে বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে। সোমবার খালিয়াজুরী ইউনিয়নে প্রত্যেক ভিজিএফ কার্ডধারীকে দুই থেকে পাঁচ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে।
“চাল চুরির সঙ্গে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান জোসেফসহ আরও অনেকেই জড়িত। ক্ষুধার্ত এই মানুষগুলোর মুখের খাবার কেড়ে নেওয়া এই চাল চোরদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
সোমবার খালিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কৃষকরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. আতিকুল ইসলাম ও উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সাইফুল ইসলাম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পিআইও সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকজনকে কয়েক কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছিল। পরে পাওনা অনুযায়ী পুরো চাল তাদেরকে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী হাকিম বলেন, “১০/১৫ জন কৃষককে ওজনে কম চাল দেওয়া হয়েছিল দেখতে পাই। পরে তাদেরকে ওজন ঠিক করে চাল দেওয়া হয়েছে।”
ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
চাল কম দেওয়ার বিষয়ে খালিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান জোসেফ বলেন, “আমাকে একটি চক্র ফাঁসাতে এই মিথ্যা অভিযোগ করছে। ত্রাণের কোনো চাল চুরির সঙ্গে আমি জড়িত নই।”
এদিকে জোসেফের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “চেয়ারম্যান জোসেফের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবরে কৃষকরা একটি অভিযোগ আমার কাছে দিয়েছেন।
“অভিযোগটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ বেশ কয়েকজন কৃষক স্বাক্ষর করেছেন। অভিযোগটি আমি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেব।”