সোমবার উপজেলার পূর্ব সদরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ভুঁইয়া বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা একটি পিস্তল এবং টাকা ভরতি দুটি ব্যাগসহ মোট চারটি ব্যাগ নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মঞ্জুরুল হক।
ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গাড়িবহর থেকে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ উঠলেও তার পক্ষের লোকজন তা অস্বীকার করেছেন।
আহতরা হলেন টেকনো গ্রুপের চেয়ারম্যান ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ মঞ্জুরুল হক (৬৫), তার পিএস মামুন চৌধুরী (৩৫), ভাগিনা শাহরীয়ার লস্কর ওরফে আরজ (৩৯), গাড়ি চালক বাবলু মিয়া (৪৫) ও পিয়ন হানিফ (৩৫)।
তাদের মধ্যে মামুন চৌধুরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং চালক ও পিয়নকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শাহরীয়ার লস্কর সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব সদরদী উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার দুপুরে অভিভাবক সমাবেশ ছিল। ওই অনুষ্ঠানে মঞ্জুরুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন।
“আমরা দুটি গাড়ি নিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সাংসদের বহর বাধা দেয় এবং হামলা চালায়।”
হামলায় শিল্পপতি, পিএস, চালকসহ তারা পাঁচজন আহত হন বলে জানান শাহরীয়ার।
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপি নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাহাদাত হোসেন বলেন, “শিল্পপতির মঞ্জুরুল হকের উপর হামলা হয়েছে শুনেছি। তবে এ হামলার সাথে আমি বা সংসদের বহরের কেউ জড়িত নই।”
ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, শিল্পপতির গাড়িতে হামলা হয়েছে এবং তার গাড়িটি ভাঙচুর করা হযেছে। গাড়িটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি উধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমপি মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।