খুলনায় ছাত্রী ‘ধর্ষণ’: সেই টিটোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মা ডেকে ঘনিষ্ঠ হয়ে খুলনায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 01:21 PM
Updated : 30 April 2017, 02:35 PM

রোববার এ মামলার নির্ধারিত দিনে আসামি এনামুল হক টিটো (৫৫) আদালতে হাজির না হওয়ায় খুলনা মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম তার জামিন বাতিল করেন।

বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড ট্রাস্ট সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট অশোক কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার বরাত দিয়ে এ আইনজীবী বলেন, ওই ছাত্রী গত ১৬ জানুয়ারি কলেজ থেকে অটোরিকশায় করে দারোগাপাড়ার বাসায় যাচ্ছিলেন। ওই অটোরিকশার আরেক যাত্রী এনামুল হক টিটোর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথম পরিচয়েই এনামুল তাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন।

“কিছুদিন আগে তার মা মারা গেছেন বলে টিটো মেয়েটিকে বলেন। একজন বয়স্ক মানুষ হওয়ায় মেয়েটি বিষয়টি স্বাভাবিক বলে মনে করেন। এরপর কলেজে যাওয়া-আসার পথে দেখা হলেই খাতির করতেন এনামুল।”

অশোক কুমার বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি মেয়েটিকে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টিটো সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।

ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে অশোক জানান, মেয়েটি প্রথমে লজ্জায় কাউকে না জানালেও পরে পরিবারকে বিষয়টি জানান। কিন্তু কী করতে হবে বুঝতে না পেরে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যান।

মেয়েটির বড় বোন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা প্রথমে ‘বিদ্রূপ করে’ তাড়িয়ে দেন। এরপর সদর থানায় গেলে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে এনামুল হক টিটোর নাম-ঠিকানা জোগাড় করে ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ১৫ মার্চ সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।

নগরীর একটি কলেজের ওই ছাত্রীর করা মামলায় গত ১৫ মার্চ এনামুল হক টিটোকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। গত ২০ এপ্রিল খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন নেন টিটো। গত ১৩ এপ্রিল ডাক্তারি পরীক্ষার সনদসহ খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম এম এল বি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।