সালিশে মা-মেয়েকে মারধরের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে 

পিরোজপুর সদর উপজেলায় সালিশে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূ ও তার মেয়েকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যর বিরুদ্ধে।

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 09:42 AM
Updated : 30 April 2017, 09:42 AM

কদমতলা ইউনিয়নের খানাকুনিয়ারী গ্রামে শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রিয়াজ হোসেন উজ্জ্বলের বিরদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ ।  

একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পোরগোলা গ্রামের ওই গৃহবধূ ও তার মেয়েকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওই গৃহবধূ জানান, তার মেয়ের সঙ্গে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খানাকুনিয়ারী গ্রামের মজিবুর শেখের ছেলে মারুফ শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মারুফ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক দাবি করে আসছিল।

“তাদের দাবি অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় সস্প্রতি মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য শনিবার বিকালে স্থানীয় খানাকুনিয়ারী ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সালিশের আয়োজন করেন উজ্জ্বল।”

তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে গেলে বৈঠক শুরুর আগেই উজ্জ্বল মেয়েকে গালাগাল এবং মারধর করে। পরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি মারতে শুরু করে। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে উজ্জ্বল তাকেও মারধর এবং পরে লাঠি দিয়ে পেটান।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান ওই গৃহবধূ।

এ বিষয়ে কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান বলেন, “সালিশ বৈঠকে মারধরের বিষয়ে শুনেছি; সত্যতা যাচাই করে উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল বলেন, “বৈঠকের এ পর্যায়ে মারুফ ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। আমি তাদের থামানোর চেষ্টা করেছি; কাউকে মারধর করিনি।”

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় আহতরা থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।