শুক্রবার সন্ধ্যা ও শনিবার ভোরে দুই দফা ঝড় হয় বলে প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
কমলেগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে মারা যান সাহেরা বিবি (৫০)।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর ও আদমপুর ইউনিয়নে কয়েকশ ঘরের টিন উড়ে গেছে। চালের উপর গাছ পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে আরও কয়েকশ গাছপালা।
বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও ভেঙে কয়েক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, প্রকল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা আসাদুজামান, ইসলামপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মৃনাল কান্তি সিংহ ও মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুস্প কানু।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও মাহমুদুল হক বলেন, ঝড়ে ক্ষতির বিষয়টি জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আপদত জনপ্রতিনিধি, চা বাগান ম্যানেজার ও জনগণকে নিয়ে বিধ্বস্ত গাছগুলো সরানোর কাজ চলছে।
খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তারও আশ্বান দেন তিনি।
মৃনাল কান্তি সিংহ বলেন, ক্ষতিগস্তদের বেশিভাগই পাত্রকলা, মাধবপুর, ধলাই, চাম্পারায়, কুমরা, বাঘাছড়া চা বাগানের শ্রমিক। এদের নিজের পক্ষে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাদের জন্য সরকারি ও চা বাগান কর্তৃপক্ষের সাহায্য প্রয়োজন।
মৃনাল কান্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ার শব্দে ‘আতঙ্কিত হয়ে’ পড়ে যান ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের সাহেরা বিবি (৫০)। কিছুক্ষণ পরই তার মৃতু্য্যু হয়।