সদর থানার ওসি সাবের রেজা জানান, শুক্রবার রাত ২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার কবরস্থানে পুলিশের তত্ত্বাবধানে চারজনকে দাফন করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, জঙ্গি আবুর মরদেহ তার পরিবার গ্রহণ না করায় এবং বাকি তিনজনের পরিচয় না পাওয়ায় চারজনের লাশ পুলিশ দাফন করেছে।
শিবগঞ্জের মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহিনী গ্রামের আমবাগান ঘেরা জেন্টু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির আধাপাকা একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে বুধবার সকালে ঘিরে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সোয়াটের অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে চারজনের লাশ মেলে, যারা নিজেদের ঘটানো বিস্ফোরণে মারা যান বলে পুলিশ জানায়।
শুক্রবার বেলা দেড়টায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বাড়িটির আশপাশ লোকজনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে তালাবদ্ধ।
বাড়িটি ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। গণমাধ্যমকর্মীদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ।
সকাল থেকেই বাড়ি ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। আশপাশের লোকজন তো আছেই, দূর থেকেও মানুষ আসছে বাড়িটি দেখার জন্য।
তবে এখনও আতঙ্ক কাটেনি ওই এলাকায়। নিহত আবুর প্রতিবেশী আজিজুর রহমান পলাশ বলেন, অভিযানের সময় পুলিশের কথামতো বুধবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।
“কিন্তু এখনও আতঙ্ক কাটেনি। বিশ্বাসই করতে পারছি না যে আমার বাড়ির পাশেই এরকম জঙ্গি কর্মকাণ্ড চলছিল।”
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছে।
“মামলার বাদী শিবগঞ্জ থানার এসআই আব্দুস সালাম। মামলায় নিহত জঙ্গি আবুর স্ত্রী সুমাইয়াকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।”
ওই জঙ্গি আস্তানা থেকেই বৃহস্পতিবার বিকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা সুমাইয়াকে। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।