যুবলীগ নেতাকে ঘুম থেকে তুলে নির্যাতনের অভিযোগ

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। 

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2017, 03:13 PM
Updated : 28 April 2017, 03:13 PM

উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলামের বাবা দেউলি গ্রামের আব্বাস উদ্দীন শুক্রবার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। 

অভিযোগে বলা হয়, গত মার্চ মাসে গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ে কেশবপুরের বুলু বিশ্বাস ও সেনপুর গ্রামের হাসান আলী দুটি ইটভাটা স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ফসলি জমি নষ্ট ও পরিবেশ দূষণ হওয়ার কারণ দেখিয়ে এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করেন, যাদের মধ্যে তার ছেলে আশরাফুলও ছিলেন।   

এর জেরে মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবু বক্করের নেতৃত্বে বুলু বিশ্বাস ও হাসান আলী তার ছেলের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ শুরু করেন, অভিযোগ আব্বাসের।

আশরাফুলকে ‘শায়েস্তা’ করতে বুলু, হাসান ও আবু বক্কর পুলিশকে ঘুষ দিয়েছেন বলে আব্বাস অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “গত ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে কেশবপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমাদের বাড়ি যায়। আশরাফুলকে ঘুম থেকে তুলে পেটাতে পেটাতে বের করে নিয়ে যান ওসি।”

এ সময় আশরাফুলকে বাঁচাতে গেলে পুলিশ তাকে ও তার ছোট ছেলে আসাদুজ্জামানকে ‘লাথি’ মেরে ফেলে দেয় বলে আব্বাসের ভাষ্য।

“পরে আশরাফুলকে দেউলি মোড়ে নিয়ে চোখ, হাত-পা বেঁধে মারধর করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয়,” বলেন আব্বাস। 

পরে তাকে যশোর সদর জেনারেল ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে আব্বাস বলেন, “বর্তমানে আশরাফুল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। তাকে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”

ছেলের মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলের মা মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোয়ারা বেগমও ‍উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, “রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা ছেলেডারে ওসি সাহেবের নেতৃত্বে পুলিশ মারপিট করতে করতে তুলে নিয়ে যায়। ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পায়ে জড়িয়ে ধরি। আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয় ওরা। পরের দিন থানায় খোঁজ নিতে গেলে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পরে তাড়িয়ে দেয়।”

অভিযোগ অস্বীকার করে কেশবপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, “আশরাফুলের স্বজনদের অভিযোগ ‘সঠিক নয়’; আশরাফুলকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।”

মজিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম সয়োয়ার বলেন, আশরাফুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। ইট-ভাটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় ভাটার মালিকেরা পুলিশকে দিয়ে আশরাফুলকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করছে।