তিনি উপজেলার কদমরসুল এলাকায় বসবাসকারী বেদে সম্প্রদায়ের আলম সওদাগরের মেয়ে তানিয়া।
গত পহেলা বৈশাখে স্বামী আকাশ ওরফে আব্বাসের সঙ্গে বেড়াতে বের হওয়ার পর নিখোঁজ থাকেন তানিয়া।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।
তানিয়ার মা শাহনাজ বেগম সাংবাদিকদের জানান, তারা বেদে সম্প্রদায়ের লোক। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বন্দর উপজেলার কদমরসুল দরগাহর পাশে মিঠু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
“তানিয়া শহরের একটি গার্মেন্টসে কাজ করার সময় পরিচয় হয় ভোলার চরফেশন উপজেলার ওমরাবাহু গ্রামের মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলের সাথে। পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা বিয়ে করে।”
তিনি বলেন, তানিয়েকে নিয়ে আকাশ বন্দর উপজেলার একরাপুর এলাকার আলম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকত। পহেলা বৈশাখ বেড়াতে বের হওয়ার পর থেকে তানিয়া নিখোঁজ হয়। তার স্বামী আকাশ তাদের এসে বলে- ‘তানিয়া অন্য নাগর ধরে চলে গেছে’।
তানিয়ার বাবা আলম সওদাগর সাংবাদিকদের বলেন, তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুরে। তারা প্রথমে নৌকায় থাকতেন; পরে কদমরসুল এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
“তানিয়া প্রেম করে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করার পর জানতে পারে স্বামী আকাশের আগের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে তানিয়ার সঙ্গে আকাশের ঝগড়া হয়েছিল। এই সূত্র ধরেই আকাশ তানিয়াকে খুন করেছে।”
বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। এই ঘটনায় তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার তানিয়ার স্বামী আকাশ ওরফে আব্বাস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
“পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তানিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। লাশ উদ্ধারের আট ঘণ্টা পর তানিয়ার লাশ বলে শনাক্ত করেন তার মা শাহনাজ। বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ আকাশকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার সকালে তানিয়ার লাশ নবীগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।