বুধবার রাতে হালিমা আক্তারকে (২৬) ময়মনসিংহ নগরীর চড়পাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকে হালিমার স্বামী আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজহাটি গ্রামে বুধবার রাত ৯টার দিকে আমানত উল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ তার স্ত্রী হালিমার গলা কেটে পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা হালিমাকে ময়মনসিংহের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
ওসি জানান, হালিমা আক্তারের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে আব্দুল্লাহর বিয়ে হয়। হালিমা পার্শ্ববর্তী মগটুলা ইউনিয়নের কর্মা গ্রামের সফির উদ্দিনের মেয়ে। তিনি তিন সন্তানের জননী।
ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের ভাই নুরুজ্জামান জানান, মাসদকেবী আব্দুল্লাহ নিয়মিত অত্যাচার চালাতেন তার বোন হালিমার উপর। সম্প্রতি ফকিরের ভক্ত হয়ে স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।