খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ গোফরান ফারুকী স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
সংঘের সভাপতি বিনোদ বিহারী চাকমা বলেন, জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বৌদ্ধধর্ম, বৌদ্ধবিহার ও ভাবনাকেন্দ্র সম্পর্কে মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
“করুণাময় গৌতম বৌদ্ধকে সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করে গোটা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে।”
সংঘের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা, ধর্মপুর আর্য বিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতি প্রসাদ চাকমা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন।
তারা প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। প্রতিবেদকসহ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভুল স্বীকার করে পত্রিকার প্রথম পাতায় বিবৃতি প্রকাশেরও দাবি জানান তারা।
চাকমা বকুল বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বিশেষ সংবেদনশীল অঞ্চল। এখানে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এ অবস্থায় যে প্রতিবেদন এখানে প্রকাশিত হয়েছে তা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এবং ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়ার এক অশুভ প্রচেষ্টা।”
গত ২৪ এপ্রিল পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ‘পার্বত্য এলাকায় নতুন অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টায় ভাবনা কেন্দ্র’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের এক জায়গায় গৌতম বুদ্ধকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়।