সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিবরামপুরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক হোসেন (৩৫) পাবনা পৌর এলাকার শালগাড়িয়া মহল্লার নবাব আলীর ছেলে। তিনি বেকারিপণ্য উৎপাদন করে নিজেই বিক্রি করতেন।
পরিদর্শক মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফারুকের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
“সকালে বেকারিপণ্য বিপণনে বের হলে মুজাহিদ ক্লাব এলাকায় কয়েকজন তাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়ে স্থানীয় আমিনুল ইসলাম টিপু বলেন, “সকালে আমি হাঁটাহাঁটি করতে বের হয়ে দেখি, ফারুককে তিন-চারজন যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে।
“আমি বাধা দিতে গেলে তারা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। আমরা কয়েকজন মিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।”
নিহত ফারুকের ভাই শফিউল করিম অভিযোগ করেন, “শিবরামপুর এলাকার রাব্বি, রিপন ও সুমন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।”
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ইতোমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।”
নিহত ফারুক দীর্ঘদিন পাবনার একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করলেও বছরখানেক আগে চাকরি ছেড়ে বেকারি ব্যবসা শুরু করেন। নিজের বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য নিজেই বিভিন্ন দোকানে বিপণন করতেন।