ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
এর আগে বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলার অন্যান্য আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও জড়িতদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য আসামিকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মো. মাসুম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২১ মার্চ র্যাব-১০ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আজিজুর রহমান বাড্ডা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ওই মামলা দায়ের করেন জানিয়ে এসআই মাসুম বলেন, মামলায় ১৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তাদের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে মুশফিকুর রহমান ওরফে মুশফিক মার্টিন ওরফে জেনি নামে ৩০ বছর বয়সী এই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেনি আইইডির (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়ে র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, তার কাছে বিপুল পরিমাণ দূর নিয়ন্ত্রিত আইইডি এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
জেনি ২০০৫ সালে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হলেও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে আর ডিগ্রি শেষ করতে পারেননি জানিয়ে র্যাব বলছে, তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কোর্স নিয়ে তিনি ঠিকই ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। এখনও কাগজে কলমে তিনি বুয়েটের শেষ বর্ষের ছাত্র।