পানির নিচে চলনবিলের কাঁচা-পাকা ধান

প্রবল বর্ষণে চলনবিলের সিরাজগঞ্জ অংশের শত শত হেক্টর জমির কাঁচা-পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইসরাইল হোসেন বাবু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2017, 11:38 AM
Updated : 26 April 2017, 11:38 AM

গত সাত দিনের বর্ষণে সিরাজগঞ্জ অংশের উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার চলনবিলে পানি বৃদ্ধিকে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা বলে দাবি করছে কৃষি বিভাগ।

এর আগে পানি বেড়ে চলনবিলের ফলস ডুবে যাওয়ায় জরুরিভিত্তিতে ধান ঘরে তোলার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার মাইকিং করছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা প্রশাসন।

সিংড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, উজান থেকে আসা আত্রাই ও গুড় নদীর পানি বিলে ঢুকতে শুরু করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসন ও এলাকার লোকজন। ফসল রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, চলনবিলের সিরাজগঞ্জ অংশের উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু আবাদি জমিগুলো কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

“আক্রান্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন শেষে কয়েকটি স্থানে কেটে দিয়ে পানি প্রবাহ সচল করা হলেও সম্পূর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয়নি।”

তাছাড়াও বৃষ্টি ও যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর ও চৌহালীসহ জেলার নয়টি উপজেলাতেই বেশ কিছু আবাদি জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ১৮/১৯ শত হেক্টর জমির ধান ডুবেছে বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ্ করা হয়েছে। এর মধ্যে চলনবিলে আক্রান্ত ফসলের জমির পরিমাণ ৪০ ভাগ।

ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর আধাপাকা ধান কৃষকদের কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।   

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বেশ কিছু জমির পাকা ধান ডুবে গেছে। প্রভাবশালীরা খাল ও নালার মুখ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ এবং পুকুর খনন করায় কৃত্রিম এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যেই ওই সকল এলাকার খাল ও পুকুরের পাড় কেটে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তাড়াশ উপজেলার বিনসাড়া গ্রামে কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে খালগুলোর পানি বের হতে না পেরে জমির উপর উঠে গেছে। এতে তার তিন বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।