কাজীপুর থানার ওসি সমিত কুমার কুণ্ডু জানান, কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক আব্দুল হামিদ, অফিস সহকারী (এমএলএসএস) মোয়াজ্জেম হোসেন ও চাঁন মিয়াকে মঙ্গলবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও সেবিকা জোবাইদা খাতুনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন মঞ্জুর রহমান জানান, কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ককেজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মঙ্গলবার দুপুরে তাদের প্রধান সহকারী আলমগীর হোসেনের বাসায় দাওয়াত খেতে যান।
গুরুতর অসুস্থ আলমগীরকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক উদয় নারায়ণ মোহন্তকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাস্টাররোলের কর্মচারী লাকী খাতুন ও রাশেদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক।
বগুড়া বিএমএর সভাপতি মোস্তফা আলম নান্নু জানান, বুধবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মনিরুজ্জমান ও জোবেদার লাশ তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আলমগীরের অবস্থা এখনও ‘আশঙ্কাজনক’।